ইনিংসের ১৭তম ওভার, ঢাকার জয় পরাজয় তখন নিক্তিপাল্লায় ঝুলছে। সেই সময় বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন আফিফ হোসেন। দলের অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহীম বল লুফে নিতে ছুটতে শুরু করেন।
তখন শর্ট ফাইন লেগ থেকে ফিল্ডার নাসুম আহমেদও ছুটতে থাকেন। কিন্তু তার আগে মুশফিক বল লুফে নেন। তবে পিছন থেকে ছুটে আসা নাসুমের সঙ্গে ধাক্কা লাগতে লাগতে রক্ষা পান ক্যাচ লুফে নেয়া ঢাকার অধিনায়ক। যদি ধাক্কা লেগে যেতো হয়তো ক্যাচটি পড়ে যেতো। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে নাসুমের দিকে তেড়ে যান মুশফিক।
হাত তুলে মারতে উদ্যত হন। এমন ঘটনা তিনি আরো একবার ঘটান ১৩তম ওভারে।
স্পিনার নাসুমের বল শর্ট মিড উইকেটে ঠেলেই দ্রুত এক রান নেন আফিফ হোসেন। বোলার ও কিপার, দুজনই ছুটে যান বল ধরতে। মুশফিক আগে পৌঁছে বল ধরেই হাত বাড়িয়ে মারের ভঙ্গি করেন নাসুমের দিকে। অধিনায়ক হিসেবে তিনি রাগ করতে পারেন সতীর্থের ভুলে। তাই বলে গায়ে হাত তুলতে চাইবেন!
মুশফিকের এমন আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যদিও ম্যাচে জয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন ঘটনার বিষয় এড়িয়ে যান মুশফিকুর রহীম। নাসুম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক আছে। জয়ের মধ্যে থাকলেও ব্যক্তি ও দল হিসেবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে আরও। আগামীকাল (আজ) আরেকটা ম্যাচ আছে, আশা করি জিতবো, দেখা যাক। আশা করি দল হিসেবে খেলতে পারবো।’
হ্যাঁ, স্পষ্টভাবেই মাঠে এমন অভদ্র আচরণের কথা এড়িয়ে যান মুশফিক। তরুণ স্পিনার নাসুমের সঙ্গে দেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আচরণ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বইছে রীতিমত সমালোচনার ঝড়।