টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের ফাইনালে গেল সুপারনোভাস। শনিবার হরমনপ্রীতের দল ২ রানে ম্যাচ জিতে নিল।
সুপারনোভাস এ দিন জেতার ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল জাহানারার ভেলোসিটি। সোমবারের ফাইনালে সুপারনোভাসের সামনে সালমা খাতুনের দল ট্রেলব্লেজার্স।
তিনটি দল একটি করে ম্যাচ জিতলেও রান রেট ভাল থাকায় ফাইনালে পৌঁছল সালমা খাতুনের ট্রেলব্লেজার্স এবং সুপারনোভাস ।
প্রথম ম্যাচে জাহানার দল ভেলোসিটির কাছে হেরে গিয়েছিল সুপারনোভাস। পরের ম্যাচেই জাহানার ভেলোসিটিকে বিধ্বস্ত করে সালমার ট্রেলব্লেজার্স।
তাদের বোলিংয়ের সামনে ভেলোসিটি ভেঙে পড়ে মাত্র ৪৭ রানে। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি ভেলোসিটি। ৭.৫ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় ট্রেলব্লেজার্স। আজ, শনিবার ট্রেলব্লেজার্সের বিরুদ্ধে সুপারনোভাসের মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল।
সেই ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে গেল সুপারনোভাস। আর বাদ পড়ল জাহানারার দল ভেলোসিটি।
এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সালমাদের বিপক্ষ দল সুপারনোভাসের অধিনায়ক হরমনপ্রীত। বেশ ভাল শুরু করেন সুপারনোভাসের দুই ওপেনার আটাপাট্টু ও প্রিয়া পুনিয়া। ট্রেলব্লেজার্সের বোলারদের আক্রমণ করেন আটাপাট্টু। অন্য দিকে প্রিয়া পুনিয়া স্ট্রাইক রোটেট করেন। সালমা খাতুনকে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে দীপ্তি শর্মার হাতে ধরা পড়েন প্রিয়া পুনিয়া (৩০)।
দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যান আটাপাট্টু। ৪৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পঞ্চাশ করেন তিনি। জেমাইমাকে (১) আউট করেন ঝুলন। শশীকলা (২) রান আউট হন। হরমনপ্রীত ২৯ বলে ৩১ রান করে রান আউট হন। রান আউট হন অনুজা পটেলও। শেষ ওভারে সুপারনোভাসের তিন জন রান আউট হন। ২০ ওভারে সুপারনোভাস করে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান।
রান তাড়া করতে নেমে ট্রেলব্লেজার্সের শুরুটা ভাল হয়। ১৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন ওপেনার ডটিন। রিচা ঘোষ প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেও দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন। স্মৃতি মান্ধানা দলকে টানছিলেন। অনুজা পাটিলের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ট্রেলব্লেজার্স ক্যাপ্টেন (৩৩)। হেমলতা মাত্র ৪ রান করেন। দীপ্তি শর্মা ও হারলিন ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই দু'জনের ব্যাটে জয়ের রাস্তা প্রশস্ত হলেও, শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন হারলিন (২৭)। আর তার ফলে ম্যাচও হারতে হল তাদের। কাজে এল না দীপ্তি শর্মার অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস।