বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে সর্বনিম্ন ‘ডি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক রাখা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। কিন্তু টুর্নামেন্টের পাঁচ দলের হেড কোচদের পারিশ্রমিক তার চেয়েও কম। কোচদের পারিশ্রমিকে লজ্জিত দেশের প্রখ্যাত কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
চলমান টুর্নামেন্টে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হেড কোচ হিসেবে কাজ করছেন তিনি। গাজী গ্রুপে চাকুরির সুবাদে তিনি নিজে পারিশ্রমিক নিবেন না। তবে বাকি দলগুলোর হেড কোচ, সহকারী কোচ, ট্রেনারদের পারিশ্রমিকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সালাউদ্দিন।
জানা গেছে, এই টুর্নামেন্টে হেড কোচরা ৩ লাখ, সহকারী কোচরা দেড় লাখ টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।
কোচদের পারিশ্রমিক বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমি এখানে কোন পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। গাজী গ্রুপে আমি জব করি। কোচের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি খুব লজ্জিত। আমি সারাজীবনই চেয়েছি বাংলাদেশে যেন কোচেরা আসে, আরও প্লেয়ার আসুক যারা কোচিং করতে আসে। তারা যেন একটা ভালো স্ট্যাটাস নিয়ে বাচতে পারে। আমার কাছে মনে হয় এ ধরণের পারিশ্রমিকে কখনই কোন ছেলেকে বলবো না তোমরা কোচিংয়ে আসো।’
দেশীয় কোচরা মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণ সম্পর্কে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘ডি গ্রেডের একটা খেলোয়াড় যা পাচ্ছে, তা কিন্তু একটা কোচও পাচ্ছে না। তাহলে কেন আমি আরেকটা কোচকে বলবো তুমি এই পেশায় আসো।
আমরা ই গ্রেডের মানুষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচরা হয়তো এফ গ্রেডের মানুষ। ট্রেইনার জি, এইচ অথবা এমন হবে আরকি। আমার মনে হয় সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত।’