টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল জেমকন খুলনাকে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারুণ্যনির্ভর মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিন বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস।
দলীয় ৫১ রানে ৫ উইকেট হারায় খুলনা। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন আরিফুল, শামিম, শহিদুলরা।
গত ম্যাচের নায়ক আরিফুল হক আজকে আবারো জ্বলে উঠলেন। ৩১ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ২টি চার মেরেছেন আরিফুল। শামিম হোসেন ৩৫ ও ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৬ রান করেন।
আরিফুলের ব্যাটের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৬ রানের সম্মানজনক স্কোর করে জেমকন খুলনা।
রাজশাহীর পক্ষে দুটি উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম। এছাড়া মেহেদি হাসান, এবাদত হোসেন ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট লাভ করেন।
১৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অনেকটা আক্রমণাত্মক মেজাজেই ব্যাট চালাতে থাকে মিনিস্টার রাজশাহী।
দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট পড়লেও রনি তালুকদারকে সাথে নিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গড়ে তুলেন ৪৭ রানের কার্যকরী পার্টনারশিপ।
নবাগত রিশাদ হোসেনের বলে আউট হওয়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল তুলে নেন ফিফটি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস।
শেষমেশ মোহাম্মদ আশরাফুলের অপরাজিত ২৫ এবং রনি তালুকদারের ২০ বলে ২৬ রানের সুবাদে ১৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।
টানা দুই জয়ে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।