বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।
মেহেদী হাসানের অসাধারণ অলরাউন্ডার পারফরমেন্সে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিল রাজশাহী।
শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান স্ট্রাইকে ছিলেন মুক্তার আলী। কিন্তু মেহেদী হাসানের শেষ বলে বাউন্ডারি হাকাতে ব্যর্থ হন তিনি।
এর আগে শুরুতে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বেক্সিমকো ঢাকা। আজকের উইকেটটি কঠিন মনে হয় নি। তবে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর টপ অর্ডার তেমনটাই মনে করাচ্ছিল। বেক্সিমকো ঢাকার বোলাররাও বেশ দাপট দেখাচ্ছিলেন। শুরুর দিকে দারুণ বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন। রুবেলের প্রথম ওভারে এসেছিল এক রান। আনিসুল হকের আগ্রাসী শুরুটাও টি-টোয়েন্টি মেজাজটা এনে দিতে ব্যর্থ হচ্ছিল।
অন্যদিকে নাজমুল হোসেন যে ছিলেন টেস্ট মেজাজে। প্রথম ৩ ওভার শেষে ১১ বলে মাত্র ৩ রান করেন। এরপরই হাত খুলে ব্যাট চালাতে শুরু করেন রাজশাহী অধিনায়ক। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। নাসুম আহমেদের বলে তানজিদ কাছে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ।
এরপরের ব্যাটসম্যানরা অনেকটা আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। ৫ বলের ব্যবধানে আশরাফুল ও ফজলের বিদায় মাঝে আবার আনিসুলও ফিরেছেন। অর্থাৎ ৫ বলে ৩ উইকেট হারিয়েছে রাজশাহী। দলের স্কোরে কোনো নড়চড় হয়নি এর মাঝে। ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারানো রাজশাহী কাঁপছিল তখন।
এরপরই দাঁড়িয়ে গেলেন মেহেদী ও নুরুল। ৩১ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন মেহেদী। অপরদিকে ২০ বলে ৩৯ করে আউট হয়েছেন নুরুল হাসান।
তাদের দুজনের ব্যাটের ওপর ভর দিয়ে শেষমেষ ১৬৯ রান তুলতে সক্ষম হয় রাজশাহী।
১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ঢাকা। একটা সময় বড় ব্যবধানে হারার শঙ্কা জেগেছিল ঢাকা শিবিরে। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে মুশফিক এবং আকবর আলীর ৭১ রানের জুটিতে ঘুরে দাড়ায় ঢাকা। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। ইবাদতের করা ১৮তম ওভারে মূলত পিছিয়ে পড়ে ঢাকা। ওই ওভারে ১ উইকেটের সঙ্গে মাত্র ৬ রান দেন জাতীয় দলের এই পেসার।