ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দু’টি ম্যাচ হারলেও শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সফরকারী ভারত। আর সেই রেশই বজায় রইল প্রথম টি–২০ ম্যাচেও। রাহুল–জাদেজার দুরন্ত ব্যাটিং এবং জাদেজার জায়গায় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে মাঠে নামা যুজবেন্দ্র চাহালের দুরন্ত বোলিংয়ে ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৫০ রানেই থেমে গেল অজিদের ইনিংস। বিরাটরা ম্যাচ জিতল ১১ রানে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শুরুতেই শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। মাত্র ১ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ৯ রান করেই আউট হন কোহলিও। এরপর সঞ্জু স্যামসন এবং আরেক ওপেনার কেএল রাহুল দলের হাল ধরেন। নিজের অর্ধ–শতরান পূর্ণ করেন রাহুল। তবে তিনিও ৫১ রান করে হেনরিকসের শিকার হন। শেষপর্যন্ত অবশ্য জাদেজার দুরন্ত অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে ভারত।
অজি বোলারদের মধ্যে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হেনরিকস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ডার্সি শট এবং অ্যারন ফিঞ্চ মারমুখী ভঙ্গিতেই খেলতে থাকেন। দু’জনে মিলে প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন। কিন্তু এরপরই খেলায় ফেরে বিরাটরা।
আর অজি শিবিরে প্রথম ধাক্কাটি দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তিনি প্রথম একাদশে না থাকলেও জাদেজার জায়গায় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে বল করতে মাঠে নামেন।
ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারে স্টার্কের বল সরাসরি জাদেজার হেলমেটে গিয়ে লাগে। আর আইসিসির নয়া নিয়মে যেকোনও দল চাইলে ‘কনকাশন সাব’ নিতে পারে।
আর বল করতে নেমেই ফিঞ্চকে (৩৫) আউট করেন চাহাল। দুরন্ত ক্যাচও নেন মনীশ পাণ্ডে।
এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি অজিরা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫০ রানে থামে তাঁদের ইনিংস।
‘কনকাশন সাব’ হিসেবে বল করতে নেমে চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।এছাড়া নটরাজনও ৩০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন।