প্রথম ম্যাচে ‘কনকাশন সাব’ চাহালের দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। যা নিয়ে কিছুটা বিতর্কও হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। শিখর ধাওয়ান, অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ছ’উইকেটে সহজ জয় পেল ভারত।
শুধু ম্যাচ বলা ভুল। তিন ম্যাচের সিরিজও পকেটে পুরলেন বিরাটরা।
প্রথম ম্যাচে ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজার জায়গায় চাহালের নামা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে এদিন প্রথম একাদশেই স্থান পান চাহাল। উলটোদিকে চোট আঘাতে জর্জরিত অস্ট্রেলিয়াকে নামতে হয় ফিঞ্চ–সহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে। টস জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট।
শুরুতেই নটরাজন ফেরান ডার্সি শটকে (৯)। কিন্তু তাঁর উইকেট হারালেও স্টিভ স্মিথ এবং ম্যাথুউ ওয়েড দলের হাল ধরেন। ওয়েডকে (৫৮) দুরন্ত রান আউটে ফিরিয়ে দেন কোহলি। তবে, স্মিথ (৪৬), ম্যাক্সওয়েল (২২) এবং হেনরিকসের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে ভারতকে ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দেয় অজিরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত শুরু করে রাহুল–ধাওয়ান জুটি। প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন তাঁরা। রাহুল ৩০ রান করে আউট হলেও ধাওয়ান অনবদ্য অর্ধশতরান করেন। এরপর অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ঝোড়ো ৪০ রানের ইনিংস।
তবে ভারতকে জেতানোর নায়ক অবশ্যই হার্দিক পাণ্ডিয়া। ২২ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন তিনটি চার ও দু’টি ছয়। অন্যদিকে, ৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়স আইয়ার। অজি বোলারদের মধ্যে কেউই তেমন দাগ কাটতে পারেননি।
ওয়ানডে সিরিজ হারলেও পরপর দু’টি টি–২০ জিতে সিরিজ পকেটে পুরলেন বিরাটরা। ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়াল নিয়মরক্ষার।