লো স্কোরিং ম্যাচেও হাড্ডাহাড্ডির লড়াই ! শেষপর্যন্ত বাজিমাত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদেরই ৷
আরসিবিকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লির মুখোমুখি ওয়ার্নাররা ৷
এবারও স্বপ্নভঙ্গ কোটি কোটি আরসিবি ফ্যানদের ৷ আশা জাগিয়েও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে বিরাটদের ৷
শেষ ওভারে হায়দ্রাবাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান ৷ নবদ্বীপ সাইনি প্রথম দুটি বল জায়গায় রাখলেও দলকে ম্যাচ জেতাতে সমস্যা হয়নি কেন উইলিয়ামসনের ৷
টস জিতে এদিন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ৷
বড় রান তুলতে ব্যর্থ বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা ৷ আরসিবি-র হয়ে এদিন ওপেন করতে নেমেছিলেন অধিনায়ক বিরাট ও দেবদূত পাডিক্কেল ৷ প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে আরসিবির ৷
এলিমিনেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুতেই আরসিবির দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন হায়দ্রাবাদ পেসার জেসন হোল্ডার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই বিরাটের উইকেট তুলে নেন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শ্রীবৎস গোস্বামী। এদিন চোট পাওয়া ঋদ্ধিমানের জায়গায় সানরাইজার্স দলের প্রথম একাদশে সুযোগ পান শ্রীবৎস ৷ ৬ রানের বেশি করতে পারেননি বিরাট।
এবি ডেভিলিয়ার্স এদিনও আরসিবির ত্রাতার ভূমিকায় ৷ তিনি ৪৩ বলে ৫৬ রান না করলে এদিন ১০০ রানও হয়তো স্কোরবোর্ডে উঠত না বিরাটদের ৷
২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তোলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৷
এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদেরও ৷ ঋদ্ধিমানের জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া শ্রীবৎস গোস্বামী কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়ানে ফেরেন ৷ অধিনায়ক ওয়ার্নার (১৭), মণীশ পাণ্ডে (২৪), প্রিয়ম গর্গ (৭) রান সেভাবে পাননি কেউই ৷
শেষমেশ কেন উইলিয়ামসনের ফিফটি ও জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ২৪ রানের সুবাদে ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ২০১৬'র চ্যাম্পিয়নরা।