করোনা আবহে কি চলতি বছর আইপিএল হবে? দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ক্রিকেট দুনিয়ায় এই ছিল লাখ টাকার প্রশ্ন।
তবে সব জটিলতা মিটিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসে টুর্নামেন্টির আসর।
আর কোভিড-১৯ সতর্কতাবিধি মেনে সফলভাবে আইপিএল আয়োজনের ফলও হাতেনাতে পের ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আয় করল তারা।
চলতি বছর মার্চে শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএলের ১৩তম আসরের। কিন্তু করোনার জেরে তা স্থগিত হয়ে যায়। বাড়তে থাকা সংক্রমণের মধ্যে দেশের মাটিতে এই বিরাট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা বেশ কঠিন ছিল।
তাই একটা সময় এবছরের মতো আইপিএল বাতিল হয়ে যাবে বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের এতে সায় ছিল না। কারণ আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে বিরাট অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হত বোর্ডকে। করোনা কালে অন্যান্য সিরিজ না থাকায় সেই অর্থের ক্ষতিপূরণ করাই কঠিন হয়ে উঠত।
চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যেতেই উজ্জ্বল হয় আশার আলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
করোনাভাইরাসের মধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজন করে ৪ হাজার কোটি রুপি আয় করল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)
একইসঙ্গে ভিউয়ারশিপেও তৈরি হয়েছে নয়া রেকর্ড।
এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের কোষাধক্ষ অরুণ ধুমল জানান, “গতবারের তুলনায় এবার ৩৫ শতাংশ খরচ কম হয়েছে। আর বোর্ড আয় করেছে ৪০০০ কোটি রুপি। শুধু তাই নয়, আমাদের টিভি ভিউয়ারশিপও ২৫ শতাংশ বেড়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে এবারই উদ্বোধনী ম্যাচে সর্বোচ্চ ভিউয়ারশিপ হয়েছে। টুর্নামেন্ট না হলে ক্রিকেটারদের একটা বছর নষ্ট হত। তাই আইপিএল হয়ে সব দিক থেকেই ভাল হল।”
তিনি আরও জানান, "অনেকেই ভেবেছিলেন এই পরিস্থিতিতে এত বড় আয়োজন অসম্ভব। কিন্তু বোর্ড সেটা করে দেখিয়েছে। ৩০ হাজারেরও বেশি করোনা টেস্ট হয়েছে। প্রায় ১৫০০ লোক দিনরাত পরিশ্রম করাতেই এই সাফল্য এসেছে।"