পয়েন্ট তালিকার তলানিতে রাজশাহী ও বরিশালের অবস্থান। অথচ এই দুই দলই আজ মিরপুরে দেখিয়ে দিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কাকে বলে! দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান উঠল ৪৪১।
রানের পাহাড়ের এই ম্যাচে ৮ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।
বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডের মালিক ছিল খুলনা টাইগার্স।
গত বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের ২০৫ রান তাড়া করে খুলনা ৮ উইকেটে জিতেছিল।
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২২০ রান করে রাজশাহী।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন বরিশালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবাল। দলীয় ৪৪ রানে সাইফ হাসান ২৭ রান করে বিদায় নেয়। এরপর মাঠে নামেন ইমন।
তামিমের সঙ্গে ১১৭ রানের জুটি গড়ে তিনিই বরিশালকে জয়ের পথ দেখান। তামিম ৫৩ রান করে বিদায় নেন। তামিমের বিদায়ের পর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমন। মাত্র ৪২ বলে করা এই সেঞ্চুরি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম। আজ তিনি ২৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন। পরের পঞ্চাশে লাগে মাত্র ১৭ বল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামেন রাজশাহীর দুই ওপেনার শান্ত ও আমিনুল ইসলাম ইমন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ১২.২ ওভারে ১৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
দলের পরের ব্যাটসম্যানরা অবশ্য নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু দলকে একাই টেনে নেন শান্ত। ৯৬ রান থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫২ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান এই বাঁহাতি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৪টি চার ও ১১টি ছক্কায় ১০৯ করেন তিনি।
রাজশাহীর ইনিংসে ৫ বলে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি টুর্নামেন্টে প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করা বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় বোলার রাব্বি। এর আগে দেশি বোলারদের মধ্যে হ্যাটট্রিক করেছেন আলআমিন হোসেন (দুইটি) ও আলিস আল ইসলাম।