অ্যাডিলেড টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে লিড পেয়েও জঘন্য ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে কামিন্স–হ্যাজেলউডের সামনে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বিরাট কোহলিদের ব্যাটিং লাইন আপ। খোদ হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে কী হল? তবে ম্যাচ শেষে বিরাট কিন্তু দুষলেন দলের ব্যাটসম্যানদের মানসিকতাকে এবং পরিকল্পনার অভাবকেই। অজি বোলারদের প্রশংসা করলেও তিনি পরিস্কার জানালেন, রান তোলার গতি বাড়াতে গিয়েই উইকেট হারিয়েছে ভারত।
ম্যাচ শেষে বিরাট বলেন, ‘‘আমাদের হাতে ৬০ রানের কাছাকাছি লিড ছিল। কিন্তু আচমকাই ব্যাটিংয়ে ধস নামল। গত দু’দিনে কঠোর পরিশ্রম করেছে দল। ভাল পজিশনেও পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু এক ঘণ্টার খারাপ পারফরম্যান্স এমন পরিস্থিতি তৈরি করল, যা আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিল। আমাদের আরও পরিকল্পনা করে খেলা উচিত ছিল। অজি বোলাররা প্রথম ইনিংসের মতোই বল করেছিল। কিন্তু আমরাই রান তোলার দিকে নজর দিতে গিয়ে একে–একে উইকেট হারিয়েছি। সত্যি কথা বলতে বোলিং তেমন ভয়ংকর ছিল না। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে আমাদের মানসিকতার জন্যই এমনটা হয়েছে।
আমাদের মনে হয়েছে রান তোলা কঠিন হবে, আর সেখানেই অজি বোলাররা প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। মূলত আমাদের পরিকল্পনার অভাব এবং অজি বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়ের জন্যই এই হার।’’
এই টেস্টের পরই স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় দেশে ফিরছেন কোহলি। তার আগেই এরকম জঘন্য হার। পরের তিনটি টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে টিম ইন্ডিয়া? এই প্রশ্নের উত্তরে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘আমি যথেষ্ট আশাবাদী বক্সিং ডে টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে দল।’’
এরপর মহম্মদ শামির চোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শামির চোট প্রসঙ্গে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ওর চোটের জায়গা স্ক্যান করা হবে। তবে শামি হাত তুলতেই পারছেন না। স্ক্যানের পরই সন্ধের দিকে শামির চোট কতটা গুরুতর জানা যাবে।’’
এদিকে, ম্যাচে ভারতের হতশ্রী পারফরম্যান্সের জন্য আরও একবার নেটিজেনদের রোষানলে অনুষ্কা শর্মা। কেউ মজা করে, কেউ সমালোচনা করে একাধিক মিম শেয়ার করেছেন। অবশ্য কেউ কেউ আবার অনুষ্কাকে এজন্য ট্রোলড করতেও মানা করেন। কেন তাঁকে টেনে আনা হচ্ছে সেই প্রশ্নও তোলেন।